ছয় দিন ধরে গ্ৰামে নেই বিদ‍্যুৎ পরিষেবা : নাজেহাল বাসিন্দারা

7th August 2021 5:12 pm বর্ধমান
ছয় দিন ধরে গ্ৰামে নেই বিদ‍্যুৎ পরিষেবা : নাজেহাল বাসিন্দারা


ব্রজ দাস ( পূর্বস্থলী ) : দীর্ঘ ছয় দিন ধরে নেই গ্রামে বিদ্যুৎ ।  ব্যাপক সমস্যার পূর্বস্থলীর দু নম্বর ব্লকের ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েতের ঝাউডাঙ্গা এবং হালতাচড়া গ্রামের প্রায় দেড়শটি পরিবার ।  টানা নিম্নচাপের জেরে ব্যাপক বৃষ্টির পর ব্যারেজ থেকে ছেড়েছে জল । আর তার জেরেই ভরেছে মাঠ ঘাট থেকে সমস্ত কিছু । ভূখণ্ডের সঙ্গে থেকে বিচ্ছিন্ন নদীর ওপারে ঝাউডাঙা গ্রামে ঝাউডাঙা গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে নদিয়ার বেথুয়াডহরি থেকে । আর তাতেই হয়েছে বিপত্তি।  এগারো হাজার ইলেকট্রিকের লাইনের যে পোল রয়েছে, তার তার জলে ঠেকতে আর কয়েক হাত বাকী. আর সেই কারণেই লাইন বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর ।  গ্রামে কারেন্ট আসার পর থেকেই প্রতি বছর বর্ষায় একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই এলাকার মানুষদের।  এগারো হাজার লাইনের তার উঁচু করার জন্য বহুবার বিদ্যুৎ দপ্তরের গ্রামের মানুষ দরবার করলেও কোনো ফল হয়নি । গতকাল নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিক্ষোভ দেখায় হালতাচড়া এবং ঝাউডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা । এরপর এদিন শনিবার  গ্রামে লাইন ঠিক করতে আসার কথা থাকলেও এদিন বেলা ১২ টা পর্যন্ত কোনো বিদ্যুৎ গ্রামে এসে পৌঁছাইনি।   ফলে গ্রামবাসীরা ব্যাপক গরমে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।   লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল আর তার জেরে পড়াশোনা করতে হচ্ছে অনলাইনে ।  গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে চার্জ দিতে না পারার কারণে মোবাইল হয়েছে বন্ধ।  গ্রামে অনেকেই টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন টোটোর চার্জ না থাকায় সেই টোটোগুলিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ।  পাশাপাশি তীব্র গরমে গ্রামের কয়েকশো মানুষ ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন । অবিলম্বে গ্রামে কারেন্ট ফিরুক চাইছেন গ্রামবাসীরা ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।